দশগব্য

দশগব্য

দশগব্য 
পঞ্চগব্য সহ ১০টি উপাদান দিয়ে তৈরি দশগব্য।
প্রস্তুত প্রণালী 
দশগব্য তৈরি করার পদ্ধতি এখানে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
ব্যবহারবিধি ও সুবিধা 
দশগব্য ব্যবহারের কিছু বিধি আছে। সে সব নিয়ম এবং দশগব্য ব্যবহারের সুবিধা এখানে বর্ণনা করা হয়েছে।
সরকারি সহায়তা 
দশগব্য তৈরির প্রকল্পে সরকার নানা রকম সহায়তা দিয়ে থাকেন।

দশগব্য

দশগব্য কী?

পঞ্চগব্যের মতোই দশগব্যও একটি জৈব উপাদান। আকারেই দশগব্য তৈরি হয় পঞ্চগব্য সহ ১০টি উপাদান ও কিছু গাছের নির্যাস দিয়ে। গোজাত দ্রব্য যেমন গোবর, গোমূত্র, গরুর দুধ, গব্য ঘি ও দই-কে ‘গব্য’ বলে। ঠিকমতো মেশালে গাছের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এগুলি দারুণ কাজ দেয়।
উটির হর্টিকালচার গবেষণা কেন্দ্র নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের কয়েকটি গাছকে চিহ্নিত করেছে । এগুলি হল, আর্টেমিসিয়া নাইলাজিরিকা, লিউকাস অ্যাসপেরা, ল্যান্টেনা ক্যামেরা, ডাটুরা মেটাল এবং ফাইটোলাকা ডুলক্যামেরা। এগুলি পথের ধারে এবং অব্যবহৃত জমিতে আগাছা হয়ে জন্মায়। এ ছাড়া ক্রান্তীয় অঞ্চলের কয়েকটি উদ্ভিদ, যেমন, আজাডিরেক্টা ইন্ডিকা, ক্যালোট্রফিস, টেফ্রোসিয়া পার্ফোরিয়া, ভিটেক্স নেগুন্ডো, ডাটুরা মেটাল, জ্যাট্রোফা কুর্কাস, আদাথোরা ভ্যাসিকা এবং পঙ্গামিয়া পিন্নাতা। এগুলি ঠিকমত কাজে লাগালে চাষে ব্যাপক সুবিধা হতে পারে কারণ, এগুলি নির্দিষ্ট পোকামাকড় এবং রোগের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর।

প্রস্তুত প্রণালী

কী ভাবে দশগব্য তৈরি করতে হয় ?

গাছের পাতা এবং গোমূত্র ১:১ অনুপাতে (১ কিলো ছাঁটা পাতার সঙ্গে ১ লিটার গোমূত্র) ১০ দিন ধরে মেশাতে হবে। সব গাছের ছাঁকা নির্যাস ১ লিটার করে ৫ লিটার পঞ্চগাব্যের সঙ্গে মেশাতে হবে। মিশ্রণটি ২৫ দিন আলাদা করে রেখে ভাল করে নাড়তে হবে। লক্ষ্ রাখতে হবে, যাতে পঞ্চগব্য এবং গাছের নির্যাস ভাল করে মেশে।

ব্যবহারবিধি ও সুবিধা

  1. কী ভাবে ব্যবহার করবেন ?
  2. কত সময় অন্তর ব্যবহার করবেন ?
  3. সুবিধা
  4. উৎসঃ

কী ভাবে ব্যবহার করবেন ?

স্প্রেয়ারের নজল যাতে আটকে না যায়, সে জন্য দশগব্য দ্রবণকে ছাঁকতে হবে। ফোলিয়ার স্প্রে দিয়ে ৩ শতাংশ ঘনত্বে ছড়াতে হবে। দশগব্য দিয়ে বীজ ভেজালে বা রোপণ করার আগে শিকড়ে ৩ শতাংশ ঘনত্বের দ্রবণ ২০ মিনিট দিয়ে রাখলে শিকড় ভাল থাকে এবং অঙ্কুরোদ্গম ভাল হয়।

কত সময় অন্তর ব্যবহার করবেন ?

সকল সবজি এবং শস্যের ক্ষেত্রে চারার বৃদ্ধির সময় সপ্তাহে এক বার স্প্রে করতে হবে।

সুবিধা

শস্যের বৃদ্ধি, ফলন, গুণাগুণ বাড়ায়।
পোকামাকড়ের হাত থেকে বাঁচায়।
পাতার ধসা রোগ, পাতায় ছোপ ইত্যাদি রোগ থেকে বাঁচায়।