দশগব্য কী?
পঞ্চগব্যের মতোই দশগব্যও একটি জৈব উপাদান। আকারেই দশগব্য তৈরি হয় পঞ্চগব্য সহ ১০টি উপাদান ও কিছু গাছের নির্যাস দিয়ে। গোজাত দ্রব্য যেমন গোবর, গোমূত্র, গরুর দুধ, গব্য ঘি ও দই-কে ‘গব্য’ বলে। ঠিকমতো মেশালে গাছের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এগুলি দারুণ কাজ দেয়।
উটির হর্টিকালচার গবেষণা কেন্দ্র নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের কয়েকটি গাছকে চিহ্নিত করেছে । এগুলি হল, আর্টেমিসিয়া নাইলাজিরিকা, লিউকাস অ্যাসপেরা, ল্যান্টেনা ক্যামেরা, ডাটুরা মেটাল এবং ফাইটোলাকা ডুলক্যামেরা। এগুলি পথের ধারে এবং অব্যবহৃত জমিতে আগাছা হয়ে জন্মায়। এ ছাড়া ক্রান্তীয় অঞ্চলের কয়েকটি উদ্ভিদ, যেমন, আজাডিরেক্টা ইন্ডিকা, ক্যালোট্রফিস, টেফ্রোসিয়া পার্ফোরিয়া, ভিটেক্স নেগুন্ডো, ডাটুরা মেটাল, জ্যাট্রোফা কুর্কাস, আদাথোরা ভ্যাসিকা এবং পঙ্গামিয়া পিন্নাতা। এগুলি ঠিকমত কাজে লাগালে চাষে ব্যাপক সুবিধা হতে পারে কারণ, এগুলি নির্দিষ্ট পোকামাকড় এবং রোগের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর।
প্রস্তুত প্রণালী
কী ভাবে দশগব্য তৈরি করতে হয় ?
গাছের পাতা এবং গোমূত্র ১:১ অনুপাতে (১ কিলো ছাঁটা পাতার সঙ্গে ১ লিটার গোমূত্র) ১০ দিন ধরে মেশাতে হবে। সব গাছের ছাঁকা নির্যাস ১ লিটার করে ৫ লিটার পঞ্চগাব্যের সঙ্গে মেশাতে হবে। মিশ্রণটি ২৫ দিন আলাদা করে রেখে ভাল করে নাড়তে হবে। লক্ষ্ রাখতে হবে, যাতে পঞ্চগব্য এবং গাছের নির্যাস ভাল করে মেশে।