বীজের পরীক্ষা
বীজবিক্রেতারা অনেক সময়েই অপরীক্ষিত ও শংসাপত্রহীন বীজ বিক্রি করে থাকেন। তাঁদের এই অন্যায় ও কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ থেকে বিরত করার জন্য বীজ পরীক্ষার ব্যবস্থা হয়েছে। এই পরীক্ষা বীজের গুণাগুণ নিশ্চিত করবে। শস্যের ফলন কেমন হবে তা অনেকটাই নির্ভর করে বীজের মানের উপর। বীজ পরীক্ষাবিজ্ঞানের ভিত্তিতে এই পরীক্ষা করা হবে। এই পরীক্ষার মধ্যে রয়েছে বীজের আকার, গঠন ও শারীরবিদ্যা সম্পর্কিত মূল্যায়ন। এ ব্যাপারে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। বীজ পরীক্ষার পর শংসাপত্র দেওয়া হবে।
বীজের উৎপাদন তথা ফলনের পদ্ধতি নির্ভর করে বীজের প্রকারভেদের উপর। অ্যাঞ্জিওস্পার্ম বা বদ্ধ বীজ এবং জিমনোস্পার্ম বা খোলা তথা উন্মুক্ত বীজের ক্ষেত্রে পদ্ধতির প্রভেদ আছে। অ্যাঞ্জিওস্পার্ম বীজ উৎপাদিত হয় শক্ত অথবা শাঁসালো কাঠামোর মধ্যে যাকে ফল বলা হয়। এর মধ্যে বীজ থাকে তাই এই নাম। (কিছু ফলে শক্ত ও শাঁসালো উভয় উপাদানের স্তরই থাকে) জিমনোস্পার্ম-এ বীজকে ভিতরে রাখার মতো কোনও বিশেষ কাঠামো গঠিত হয় না, উন্মুক্ত কোণাকৃতি মঞ্জরিপত্রে তাদের গঠন শুরু হয়। যদিও বীজগুলি মোচকের/শঙ্কুর আঁশ দ্বারা ঢাকা হতে থাকে। কিছু প্রজাতির চিরহরিৎ বৃক্ষের শঙ্কু আকৃতির ফলের মধ্যে বীজ উৎপন্ন হয়।
Comments
Post a Comment