উপযুক্ত জমি ও মাটি
ফুলকপি চাষের জন্য সুনিকাশযুক্ত উর্বর দোয়াশ ও এটেল মাটি সবচেয়ে ভাল।
ফুলকপি চাষের জন্য সুনিকাশযুক্ত উর্বর দোয়াশ ও এটেল মাটি সবচেয়ে ভাল।
জাত পরিচিতি
এ দেশে এখন ফুলকপির পঞ্চাশটিরও বেশি জাত পাওয়া যাচ্ছে। শীতকালেই আগাম, মধ্যম ও নাবী মৌসুমে বিভিন্ন জাতের ফুলকপি আবাদ করা যায়। এ ছাড়া গ্রীষ্মকালে চাষের উপযোগী জাতও আছে। নিচে মৌসুমওয়ারী কয়েকটি উল্লেখযোগ্য জাতের নাম দেয়া হল-
এ দেশে এখন ফুলকপির পঞ্চাশটিরও বেশি জাত পাওয়া যাচ্ছে। শীতকালেই আগাম, মধ্যম ও নাবী মৌসুমে বিভিন্ন জাতের ফুলকপি আবাদ করা যায়। এ ছাড়া গ্রীষ্মকালে চাষের উপযোগী জাতও আছে। নিচে মৌসুমওয়ারী কয়েকটি উল্লেখযোগ্য জাতের নাম দেয়া হল-
বীজ হার ও চারা উৎপাদন
চারা তৈরির জন্য ৩/১ মিটার আকারের বীজতলা তৈরি করতে হবে। প্রতি হেক্টর (২৪৭ শতক) জমিতে ফুলকপি চাষের জন্য ৩০০-৩৫০ গ্রাম বীজ দরকার। ফুলকপি চাষের জন্য ৩০ দিন বয়সী চারা রোপণ করতে হয়। লাইন থেকে লাইনের দূরত্ব ৬০ সেন্টিমিটার ও গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ৪৫ সেন্টিমিটার থাকতে হবে।
চারা তৈরির জন্য ৩/১ মিটার আকারের বীজতলা তৈরি করতে হবে। প্রতি হেক্টর (২৪৭ শতক) জমিতে ফুলকপি চাষের জন্য ৩০০-৩৫০ গ্রাম বীজ দরকার। ফুলকপি চাষের জন্য ৩০ দিন বয়সী চারা রোপণ করতে হয়। লাইন থেকে লাইনের দূরত্ব ৬০ সেন্টিমিটার ও গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ৪৫ সেন্টিমিটার থাকতে হবে।
বোনার সময়
ভাদ্র-আশ্বিন মাসে বীজ বুনতে হয় এবং কার্তিক থেকে অগ্রহায়ন পর্যন্ত জমিতে চারা রোপণ করা যায়।
ভাদ্র-আশ্বিন মাসে বীজ বুনতে হয় এবং কার্তিক থেকে অগ্রহায়ন পর্যন্ত জমিতে চারা রোপণ করা যায়।
সারের মাত্রা
প্রতি শতকে গোবর ৬০-৮০ কেজি, ইউরিয়া ১-১.২ কেজি, টিএসপি ৬০০-৮০০ গ্রাম, এমওপি ৮০০-১০০০ গ্রাম, বোরণ ৩০-৪০ গ্রাম সার দিতে হবে। জমি তৈরির সময় অর্ধেক গোবর সার, পুরো টিএসপি, অর্ধেক এমওপি এবং বোরন সার প্রয়োগ করতে হবে। বাকি অর্ধেক গোবর সার চারা রোপণের ১ সপ্তাহ আগে মাদায় দিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। এরপর চারা রোপণ করে সেচ দিতে হবে। ইউরিয়া এবং বাকি অর্ধেক এমওপি ও বোরন সার ৩ কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হবে। প্রথম কিস্তির সার দিতে হবে চারা রোপণের ৮-১০ দিন পর, দ্বিতীয় কিস্তির সার দিতে হবে চারা রোপণের ৩০ দিন পর এবং শেষ কিস্তির সার দিতে হবে ৫০ দিন পর।
প্রতি শতকে গোবর ৬০-৮০ কেজি, ইউরিয়া ১-১.২ কেজি, টিএসপি ৬০০-৮০০ গ্রাম, এমওপি ৮০০-১০০০ গ্রাম, বোরণ ৩০-৪০ গ্রাম সার দিতে হবে। জমি তৈরির সময় অর্ধেক গোবর সার, পুরো টিএসপি, অর্ধেক এমওপি এবং বোরন সার প্রয়োগ করতে হবে। বাকি অর্ধেক গোবর সার চারা রোপণের ১ সপ্তাহ আগে মাদায় দিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। এরপর চারা রোপণ করে সেচ দিতে হবে। ইউরিয়া এবং বাকি অর্ধেক এমওপি ও বোরন সার ৩ কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হবে। প্রথম কিস্তির সার দিতে হবে চারা রোপণের ৮-১০ দিন পর, দ্বিতীয় কিস্তির সার দিতে হবে চারা রোপণের ৩০ দিন পর এবং শেষ কিস্তির সার দিতে হবে ৫০ দিন পর।
সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা
সার দেয়ার পরপরই সেচ দিতে হবে। এছাড়া জমি শুকিয়ে গেলে সেচ দিতে হবে। জমিতে পানি বেশি সময় ধরে যেন জমে না থাকে সেটাও খেয়াল করতে হবে। সার দেয়ার আগে মাটির আস্তর ভেঙ্গে দিয়ে নিড়ানী দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করে দিতে হবে।
সার দেয়ার পরপরই সেচ দিতে হবে। এছাড়া জমি শুকিয়ে গেলে সেচ দিতে হবে। জমিতে পানি বেশি সময় ধরে যেন জমে না থাকে সেটাও খেয়াল করতে হবে। সার দেয়ার আগে মাটির আস্তর ভেঙ্গে দিয়ে নিড়ানী দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করে দিতে হবে।
বিশেষ পরিচর্যা
ফুলকপি গাছের সারির মাঝে সার দেয়ার পর সারির মাঝখানের মাটি তুলে দুপাশ থেকে গাছের গোড়ায় টেনে দেয়া যায়। এতে সেচ ও নিকাশের সুবিধা হয়। তবে ফুলকপির ফুল সাদা রাখার জন্য কচি অবস্থায় চারদিক থেকে পাতা টেনে বেঁধে ফুল ঢেকে দিতে হবে। সূর্যের আলো সরাসরি ফুলে পড়লে ফুলের রঙ তথা ফুলকপির রঙ হলুদাভ হয়ে যাবে।
ফুলকপি গাছের সারির মাঝে সার দেয়ার পর সারির মাঝখানের মাটি তুলে দুপাশ থেকে গাছের গোড়ায় টেনে দেয়া যায়। এতে সেচ ও নিকাশের সুবিধা হয়। তবে ফুলকপির ফুল সাদা রাখার জন্য কচি অবস্থায় চারদিক থেকে পাতা টেনে বেঁধে ফুল ঢেকে দিতে হবে। সূর্যের আলো সরাসরি ফুলে পড়লে ফুলের রঙ তথা ফুলকপির রঙ হলুদাভ হয়ে যাবে।
পোকা মাকড় ব্যবস্থাপনা
এদেশে ফুলকপির সবচে ক্ষতিকর পোকা হল মাথা খেকো লেদা পোকা। নাবী করে লাগালে সরুই পোকা বা ডায়মন্ড ব্যাক মথ বেশি ক্ষতি করে।
এদেশে ফুলকপির সবচে ক্ষতিকর পোকা হল মাথা খেকো লেদা পোকা। নাবী করে লাগালে সরুই পোকা বা ডায়মন্ড ব্যাক মথ বেশি ক্ষতি করে।
মাথা খেকো লেদা পোকা
এ পোকার ডিমগুলো গাদা করে ছাদের টাইলসের মত একটির উপর একটি সাজানো থাকে। কীড়ার মাথা লাল এবং হালকা থেকে হলুদাভ সবুজ বর্ণের। শরীরের পিঠের দিকে লম্বালম্বিভাবে সমান্তরাল তিনটি ডোরা দাগ থাকে। শরীরের উভয় পাশে দুটি লম্বালম্বি দাগ থাকে। এক সাথে অনেকগুলো কীড়া বাধাকপির বর্ধনশীল অংশ খেয়ে ফেলে। ফলে বাধাকপির মাথা নষ্ট হয় এবং খাওয়ার অনুপযোগী হয়। কীড়া পাতা কুড়ে কুড়ে খেতে খেতে জালের মত করে ফেলে।
দমন ব্যবস্থাপনা: সম্ভব হলে হাত দ্বারা কীড়া ও ডিম সংগ্রহ করে ধ্বংস করা। হাত দ্বারা কীড়া তুলে মারা এবং ব্যাসিলাস থুরিনজিয়েনসিস ব্যাকটেরিয়ার স্থানিক প্রয়োগের মাধ্যমে সফলভাবে পোকা দমন করা যায়। কপি ক্ষেতের আশে পাশের কপি জাতীয় আগাছা ধ্বংস করা যাতে প্রথম বংশ জন্মলাভ না করতে পারে। প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৪০মিলি লিটার হিসাবে উদ্ভিদজাত কীটনাশক যেমন নিমবিসিডিন ছিটানো। প্রয়োজন হলে অনুমোদিত কীটনাশক সঠিক নিয়মে স্প্রে করা।
এ পোকার ডিমগুলো গাদা করে ছাদের টাইলসের মত একটির উপর একটি সাজানো থাকে। কীড়ার মাথা লাল এবং হালকা থেকে হলুদাভ সবুজ বর্ণের। শরীরের পিঠের দিকে লম্বালম্বিভাবে সমান্তরাল তিনটি ডোরা দাগ থাকে। শরীরের উভয় পাশে দুটি লম্বালম্বি দাগ থাকে। এক সাথে অনেকগুলো কীড়া বাধাকপির বর্ধনশীল অংশ খেয়ে ফেলে। ফলে বাধাকপির মাথা নষ্ট হয় এবং খাওয়ার অনুপযোগী হয়। কীড়া পাতা কুড়ে কুড়ে খেতে খেতে জালের মত করে ফেলে।
দমন ব্যবস্থাপনা: সম্ভব হলে হাত দ্বারা কীড়া ও ডিম সংগ্রহ করে ধ্বংস করা। হাত দ্বারা কীড়া তুলে মারা এবং ব্যাসিলাস থুরিনজিয়েনসিস ব্যাকটেরিয়ার স্থানিক প্রয়োগের মাধ্যমে সফলভাবে পোকা দমন করা যায়। কপি ক্ষেতের আশে পাশের কপি জাতীয় আগাছা ধ্বংস করা যাতে প্রথম বংশ জন্মলাভ না করতে পারে। প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৪০মিলি লিটার হিসাবে উদ্ভিদজাত কীটনাশক যেমন নিমবিসিডিন ছিটানো। প্রয়োজন হলে অনুমোদিত কীটনাশক সঠিক নিয়মে স্প্রে করা।
রোগ ব্যবস্থাপনা
ফুলকপির পাতায় দাগ ও কালো পচা রোগ প্রধান সমস্যা। এছাড়া চারা ধ্বসা বা ড্যাম্পিং অফ, ক্লাব রুট বা গদাই মূল, মোজাইক, পাতার আগা পোড়া ইত্যাদি রোগও হয়ে থাকে। বোরন সারের অভাবে ফুলে বাদামী দাগ পড়ে ও কান্ড ফাঁপা হয়ে যায়।
ফুলকপির পাতায় দাগ ও কালো পচা রোগ প্রধান সমস্যা। এছাড়া চারা ধ্বসা বা ড্যাম্পিং অফ, ক্লাব রুট বা গদাই মূল, মোজাইক, পাতার আগা পোড়া ইত্যাদি রোগও হয়ে থাকে। বোরন সারের অভাবে ফুলে বাদামী দাগ পড়ে ও কান্ড ফাঁপা হয়ে যায়।
ফসল তোলা ও ফলন
সাদা রঙ ও আঁটো সাঁটো থাকতে থাকতেই ফুলকপি তুলে ফেলা উচিত। মাথা ঢিলা ও রঙ হলদে ভাব ধরলে দাম কমে যায়। একর প্রতি ফলন ১৫-২৫ টন, হেক্টরে ৩৫-৬০ টন।
সাদা রঙ ও আঁটো সাঁটো থাকতে থাকতেই ফুলকপি তুলে ফেলা উচিত। মাথা ঢিলা ও রঙ হলদে ভাব ধরলে দাম কমে যায়। একর প্রতি ফলন ১৫-২৫ টন, হেক্টরে ৩৫-৬০ টন।
সংগৃহীত ও সংকলিত
Comments
Post a Comment